সূ চি প ত্র
বিষয় | পৃষ্ঠা |
---|---|
মানবদেহ | ১-২৯ |
ভৌত পরিবেশ (মাটি, জল, জীববৈচিত্র্য) | ২৯-৬১ |
পশ্চিমবাংলার সাধারণ পরিচিতি | ৬২-৮৩ |
পরিবেশ ও সম্পদ | ৮৪-৯৭ |
পরিবেশ ও উৎপাদন (কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন) | ৯৮-১১৭ |
পরিবেশ ও কর্মসূচি | ১২০-১২৬ |
পরিবেশ, খনিজ ও শক্তি সম্পদ | ১২৯-১৩৭ |
পরিবেশ ও পরিবহন | ১৩৮-১৪৫ |
জলবায়ু ও পরিবেশ | ১৪৬-১৭১ |
পরিবেশ ও আকাশ | ১৭২-১৭৯ |
মানবাধিকার ও মূল্যবোধ | ১৭৯-১৮০ |
আমার পাতা | ১৮১-১৮২ |
পাঠ্যসূচি ও নমুনা প্রশ্ন | ১৮৩-১৯১ |
শিখন পরামর্শ | ১৯৭-১৯৯ |
মানবদেহ
শরীরের বর্ম
কাঁচা কিনতে সুজয় দোকানে গিয়ে দেখে হয়। দোকানেরা বলছেন - ব্যাগ, জুতো ও বেল্ট সবই চামড়ার। তবে আজকাল চামড়া অনেক বিকল্প ব্যবহার হয়। মানুষও চামড়ার ব্যবহার করছে।
আমিনুর ব্যাগটা দেখিয়ে হাসতে হাসতে বলল - চামড়া এত পুরু হয়?
পিনু থেকে সুজয় বলল - ধীরে, হয়। গাদরের চামড়া আরও পুরু।
পার্বতীন স্কুলে আসল বল বলল। লিলিমিমি সব শুনছে।
জানব তো একসময় চামড়ার অনেক রকম ব্যবহার হতো। পাথর চামড়া শুকিয়ে তার পোশাক, জুতো ব্যবহার করত। জল ব্যবহার করত। তারপর মানুষও বোঝে চামড়া বেশি ব্যবহারের বিষয় আছে। পোকা মারা পড়ছে। তার সঙ্গে চামড়ার বেশি ব্যবহার পরিবেশ দূষিত হয়। চামড়া কথা নয়। জল পচে না। হওয়ায় জুতা সুকৌশলে জাই চামড়া সংরক্ষণ করে। তাই আছে আগে চামড়ার ব্যবহার করতে হচ্ছে।
রিনা বলল - শরীরে কোনো চামড়ার টান টান। চামড়া চামড়া কিচকিচানো। আবার কোথাও চামড়া, কোথাও পাতলা।
দিদিমণি জানতে চাইলেন - আমাদের শরীরের বর্ম কোনটা বলো?
সুজয় বলে উঠল - আমাদের চামড়া।
- ঠিক বলেছ। চামড়া বা ত্বক। **তীর মত শরীরের সবকিছু।** **মাংসপেশি, নার্ভ, শিরা-ধমনি।**
পলাশ বলল - দিদি, বর্ম কেন বলল?
সুজয় বোঝাল - আঘাতাত্ থেকে বর্ম চামড়া রক্ষা করে। বাহিরের আঘাত ও সূর্যের আলোয় অদৃশ্য অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচায়।
- চামড়ার নীচে মাংসপেশি, শিরা-ধমনি রয়েছে। এক গ্রামের বাঁচায়। শৈশবকে নানা রোগ পড়তে। জনমত, অনেক দিন আগে যুক্ত চামড়ার ব্যবহার হতো। গাদরের চামড়া দিয়ে পোশাখ, ঢাল বানানো হতো। সেই পোশাকে প্রখরতা যুথ করে ব্যবহার হতো। তা দিয়ে তা থেকে অনেক বর্ম হতো। চালচৌরা শরীরাতে থেকে কীচকিচানো। কোনো জায়গা থেকে লুকিয়ে থাকে। রোগাবস্থায় শরীরে আক্রমণ করতে পারে।
মীনা বলল - শিরা-ধমনি সব নলের মতো, তাই না?
রফিকের হাতের তালুতে উপুড় করে মীনাকে দেখাল। বলল - এই দেখ, কী রকম নল দেখা যাচ্ছে। চামড়ার নীচে সূঁচ রয়েছে। নলগুলো শাখা প্রশাখা রয়েছে।
- এগুলো শিরা না ধমনি? **ধমনি একটুকরো দিকে থাকে।** **শরীরের অনেক জায়গায় শিরাগুলো দেখা যায়।**
মানবদেহ
দেখে নিজে দেখো
শরীরের কোন্ অংশে চামড়া কেমন তা নিজে দেখি। তা নিয়ে আলোচনা করো। তারপর লেখো :
শরীরের অংশ | চামড়া কেমন | চামড়ার নীচে শিরা দেখা যায় কিনা | চামড়ার নীচে আর কী আছে বলে মনে হয় |
---|---|---|---|
গাল | টান টান | ||
গলা | দেখা যায়, নীল রঙের | ||
হাতের তালু |
ত্বক কোথায় পাতলা, কোথায় পুরু
পরদিন। দিদিমণি আসার আগেই তক নিয়ে কথা শুরু হলো।
আমিনুর খাতাটা দেখছিল। একসময় বলল - চামড়া যেখানে পাতলা, সেখানেই শিরাগুলো দেখা যায়। চামড়া যেখানে মোটা সেখানে শিরা দেখা যায় না।
সবাই নিজের হাতের দু-পিঠ দেখে নিল। আমিনুর ঠিকই বলেছে। কিন্তু
চামড়া কোথাও পাতলা ও কোথাও পুরু কেন?
সুজয় বলল - হাতের দিকটা কী রকম দেখছে। মীনা বলল - চেপ্টের দিকটা।
রফীক বলল - তাই কী হাতের চেপ্টের দিকের ত্বক মোটা হয়ে গেছে?
ইতু বলল - পরের তলের চামড়া আরও পুরু। গোড়ালির চামড়া সবচেয়ে পুরু। গোড়ালিতে কী বেশি যমানি হয়?
মীনা বলল - ইঁটুর কথা ভেবছি। গোড়ালির উপর শরীরের সব ওজনের মতো মাটি না হলে চামড়া মোটা। সেখানে কোনো চামড়া মোট হয়ে যায় না। ওই হাতের চেপ্টের দিকে শিরা দেখা যায়।
এদিকে সুজন রফিকের হাতের চামড়াটা দু-আঙুল দিয়ে ধরল।
বলল - এইভাবে ধরে দেখ, কোথায় চামড়া কতটা পুরু হবে।
মানবদেহ
দেখে নিজে দেখো
শরীরের অংশ | ত্বক পাতলা না পুরু | শরীরের অংশ | ত্বক পাতলা না পুরু |
---|---|---|---|
গাল | পাতলা | ||
ত্বকের উপর-নীচ
স্কুলের কাছে এসে হঠাৎ ছোটু এসেছে। পায়ের সুজন। শীত আর আর্ট লাগানো। সবাই মিলে ঘুরে তুলে নিয়ে। বসতে। কয়টি হাতেগোনা আছে। এক জায়গায় একটু রগ বেরিয়েছে।
হঠাৎ করে উঠেছে। একফোট জল কিন্তু বেরিয়ে গেছে। খানিকক্ষণ বরফ দেখা হলো।
মীনা সব দেখছিল। সে ভাবল, ত্বকের কী দুটো স্তর আছে? একটা স্তর জলের মতো কিছু থাকে? আর একটা স্তর রক্তের? দিদি ক্লাসে এল সে জানতে চাইল।
দিদি বললেন - **ঠিকই ভেবেছো। ত্বকের উপরের স্তরে রক্ত থাকে না।**
রফিক বলল - এই জলের উপকারী মারা। কেটে গেলে কিছু হয় না। তাই না?
- **ডা. সিতা স্কুলের আঘাত লাগলে কিছু জ্বালা করবে।**
মীনা বলল - কিন্তু ফোস্কা পড়লে বেঞ্চ ক্ষতি নেই।
- তখন ঠান্ডা জল দিয়ে হয়। বরফ কাগজের পুচ্ছতা। খানিকক্ষণ ঠান্ডা জল হাতে রেখে। হাত তুলে আবার জ্বালা শুরু হলো। তাহলে আবার হাতটা ঠান্ডা জল ডুবাতে হবে। তখন হাত তুলে জ্বালা করবে না তখন হাত তুলে যে। চামড়ার ভিতরে কী গতি হবে না।
- **পোস্কা পড়ে যাবে!**
- চামড়ার ওপরে গরমতা মরে যায়। তখন নীচের স্তরটা থেকে জল বেরিয়ে আসে। দুটি জলের মাঝে সেই জলীয়বর্ম জমা হয়। আর ফলে ঝাপটা ফুলে ওঠে। এভাবে ফোস্কা পড়ে। সামলাতে জল দেয় জায়গায় তাপ দেওয়া হয়। নিচে পুড়ে গরম হতে পারে না। তখন চামড়া ঠান্ডা ও পাতলা হয়।
মীনা বলে উঠল - কিন্তু ফোস্কা পড়লেও বেশি ক্ষতি নেই। তাতে চামড়ার ভিতরের স্তরটা কমে যায়। পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
- **বেশি পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়া দরকার।**
মানবদেহ
বলবলি করে লেখো:
আগে কবে কবে চামড়ার আঘাত লেগেছে তা জেনে আলোচনা করো।
শরীরের অংশ | চামড়ায় আঘাতের কারণ | তখন কী করেছ | এরপর এই রকম হলে কী করবে |
---|---|---|---|
কোঁকড়ানো আর কালো
স্কুলের একটা অনুষ্ঠানে এসেছে আগের হেয়ারস্যাল। বয়স্ক মানুষ। পিনাকি দেখল, তার মুখের চামড়া টানটান নেই। কপালের চামড়াও ঢিলে। পরদিন ক্লাসে সারাকে এই ধরণের চামড়া নিয়ে আলোচনা করতে চাইল।
স্যার বললেন - ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বাড়লে চামড়া ও বাড়ে। মোটামোটা হলে চামড়া একটু ছোটো। কিন্তু চামড়া কমে না। তখন চামড়া কুঁচকে যায়। কোঁকড়ানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
রিয়াজ বলল - আচ্ছা সাদা চামড়ার রং কেন আলাদা হয়?
- **মেলানিন** নামের একটা জিনিসের জন্য চামড়ার রং কালো হয়। **অতিবেগুনি রশ্মি** সূর্য থেকে আসে। **অতিবেগুনি রশ্মি** ত্বকে ক্যানসার ঘটায়। **মেলানিন** অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নিয়ে ক্যানসার আটকাতে পারে।
তাহলে কালো চামড়া রোগের বিরুদ্ধে বেশি লড়াই করতে পারে?
ঠিক তাই। আর রোগ শরীরে মেলানিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
সাহেবা বলল - চামড়ায় কিচু গিটামিন-ডি তৈরি হয়।
আছে। তবে কম।
মীনা বলল - আমার বড়োজেঠুর পায়ের রং কালো। কিন্তু এখন অনেক জায়গায় চামড়াটা একদম সাদা হয়েছে।
- সূর্য, সানগ্লাস, চামড়া।
ওসব জায়গায় মেলানিন তৈরি হচ্ছে না। অসুস্থতা বা অসুস্থতা এমন হয়।
- **গায়ে রোদ লাগান ভালো?**
- ত্বক ভেদ করে ভিটামিন-ডি তৈরি হয়।
- সুজন বলল - সার, চামড়া, ভিটামিন ডি। **যাতে মাংসপেশির কিন্তু বর্ম থাকে।** **বর্ম বেড়ে যায়।**
- ঘামে নুন আর শরীরের কিছু বর্জ্য থাকে। বর্মটি বেরিয়ে যাওয়াটা খারাপ। বেশি নুন বেরিয়ে গেলে মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে।
রিয়াজ বলল - চোখ ধুয়ে যায়। ডাক্তারবাবু বললেন, একটু জল হলে ওগুলো পরিষ্কার করে নিও। আজ তার কারণটা বুঝলাম।
মানবদেহ
বলবলি করে লেখো
চামড়া অসুস্থ বিষয়ে নিজেরা আলোচনা করো। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নাও। তারপর লেখো :
শরীরের অংশ | চামড়া কী অসুস্থ হয় | সেই অসুস্থ হলে কী কী লক্ষণ | সেই অসুস্থ হলে কী করবে বা করবে না |
---|---|---|---|
চুলের সাতকাহন
কৌশিকির মা চুল আঁচড়াচ্ছিলেন। চিরুনি উঠতেই চুল ওঠে। কৌশিক দেখল, চুলের গোড়াগুলো মোটা। ভাবল, চুলের গোড়াগুলো মাথার ত্বকের আটকাতে থাকে। চামড়ার উপরেরে আছে? নাকি আরও গভীরে?
আরেক প্রকারের আবার গায়ে লোম। বেশি কিন্তু মাথার চুল নেই। পাখির গায়ে পালক থাকে। মাছের আছে আঁশ। সাপেরা থাকে। আবার বাজারে
গাড়ী, আঁশ, পালক বা লোম কিছু নেই।
ঘুরে যেতেই ওরা বসবার কথা বলছিল। কায়া বলল - মূর্শিদির গায়ে কিছু। মূর্শিদি গায়ে কিন্তু পালক শুধু ছোটো। লোমরে মটো। ওগুলো গোড়াগুলো চামড়ার নিচে যুক্ত। তারা বর্ম। ও গুলো শিরা দেখা যায়।
এভাবে এসব কথা বলল সবাই। দিদিমণি ওদের দিকে তাকালেন। হেসে বললেন - তুমি এত সব জানলে কী করে?
- মূর্শিদির গায়ে ও পশম লাগাতে গিয়ে দেখি।
চামড়া তো শীতের বর্ম। চামড়া তো শরীরের বর্ম।
- লোম, চুল, পালক সবই গোড়া চামড়ার ভিতরের পর্দায়। চামড়া তো শরীরকে বাঁচায়। আবার চামড়া ও প্রথম থাকা বমি-বিচামে। তাই লোম, চুল, পালক, আঁশ তৈরি হয়েছে।
মানবদেহ
তুধা বলল - মাথা আঁচড়াতে গেলে তো রোজই কিছু চুল উঠে যায়!
- তবে ছোটো। পালক, লোম, চুল সবটাই বর্ম। চামড়া আবার তা তৈরি করে নেয়। তবে রোজ কিছু চুল স্বাভাবিক নিয়ামেই উঠে যায়।
নবীনা বলল - বয়স বাড়লে চুল সাদা হয়ে যায় কেন?
- **বয়স বাড়লে মেলানিন তৈরি কমে যায়।**
রিনা বলল - কারো চুল কোঁকড়ানো, কারো কোঁকানো, কারো সোজা!
- দেখো তো তোমাদের মধ্যে কতজনের চুল কেমন। বুঝেছ লেখা থেকে বিভিন্ন মানুষের চুলের রং ও ধরন তোমাদের থেকে অনেকটা আলাদা।
দেখে নিজে দেখো
তোমাদের কার চুল কেমন, কত বড়ো চুল ওঠে তা দেখে আর গুনে লেখো :
চুলের ধরন | কোন্ ধরন, কতজনের | দিন সংখ্যা | সারাদিনে কটা চুল পড়ল |
চারদিনে মোট কত চুল পড়ল |
গড়ে দিনে মিলে কটা চুল পড়ল |
---|---|---|---|---|---|
কোঁকড়ানো | 1 | ||||
একটু কোঁকানো | 2 | ||||
সোজা সোজা | 4 | ||||
8 |
শজারুর কাঁটা
নীলা কোনো শজারু মাথায় মানুষের মতো চুল দেখেনি। বিজ্ঞানের গৌফ আর ছাগলের দাড়ি দেখেছে। ওদের গোঁফ-দাড়ি কি মানুষের? মনে হয় ওদের গোঁফ-দাড়ি কি পাখির? পিনাকে বলল এবার।
রিনা বলল - ওদের গোঁফ-দাড়ি বেশি বাড়ে না।
ওদের এসব কথা শুনে সুনীল বলল - চুল-গোঁফ-দাড়ি সবার সমান বড়ো নয়। কারো কম বাড়ে, কারো বেশি বাড়ে।
ক্লাসে এসে বলল ওরা। দিদিমণি বললেন - **সুনীল তো ঠিকই বলেছে।**
সাবিনা বলল - দিদি, কাকাতুয়ার ঝুঁটি কি চুল?
মানবদেহ
— দেখাতে চুলের মতো হলো ও পালকই। এইরকম ঝুঁটি মেছো হয় তৈরি পাওয়ারের শলা।
আসলে সেট চুল।
- চুল কী করে হবে? খলা তো শুনছি খুব শক্ত।
- **শক্ত হলেও জমাট বাঁধা চুল। লোমও শক্ত হয়।**
বলল - **কোন প্রাণীই পা-এর মত সরু শক্ত খাড়া লোম?**
রফিক বলল - শজারুর লোম কাঁটার মতো। খুব শক্ত আর সূঁচাল হয়।
সুনীল বলল - বাদুড়ের গায়েও লোম আছে।
বলবলি করে লেখো
মানুষের ও অন্য প্রাণীর লোম-চুল বিষয়ে আলোচনা করো। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নাও। তারপর লেখো :
মানুষের লোম-চুল | অন্য প্রাণীর লোম/চুল/পালক/আঁশ | |||
---|---|---|---|---|
কোথায় বেশি বাড়ে বা গিজগিজি | বেশি লোম কাদের | খুব কম লোম কাদের |
বিশেষ ধরনের লোম-চুল কাদের |
বিশেষ ধরনের পালক/আঁশ কাদের |
না কাটলে কত বড়ো হয় | ||||
চামড়ার কোন্ স্তরে গজায় | ||||
এদের কাজ কী | ||||
পাকলে কেন সাদা |
নখের নীচে রক্ত
অনন্যমঞ্চে চুলো হাতে ছোটো ছোটো পুলুম। পুলুম উলটে রগ বেরোলো।
খানিকক্ষণ বরফ লাগাতে বলা হল। তারপর ওষুধ দিলেন।
বললেন - মাস দুয়েক পরে নতুন নখ গজাবে।
বিমল নখের নীচে রক্ত দেখে অবাক। সে থাকত নখ কাটলে লাগে।
না। একথা শুনে মোসাফ বলল - কোনোদিন তোর নখ বেশি কাঁটা হয়ে যায়নি?
বিমল ডেকে বলল - এবার হয়ে গিয়েছিল। চামড়া কেটে যাওয়ার সময় রক্ত বেরোচ্ছিল।
- আর একটু কাটলেই রক্ত বেরোত।
মানবদেহ
প্রিয়ালি বলল - নখের রং কেন গোলাপি। এবার নখের একটু টিপস দেখ।
বিমল তাই করল। গোলাপি রঙটা একদিক থেকে আরেকদিকে সরে গেল। তা দেখে বিমল বলল - এই রংটা রক্তের জন্য। তাই না? রঙটা অন্যপাশে সরে যাচ্ছে।
ক্লাসে ঢুকে পুনমের নখটা ভাঙার কথা শুনে দিদিমণি বললেন - আঙুলকে বাঁচাও নখ। আবার আঙুলকে অনেক কাজও করে নখ। নখ না থাকলে ছোটো জিনিস ধরা যেও না।
মোসাফ বলল - পায়ে কীটা ফুটলে নখ দিয়ে ধরে তুলত?
কৌশিক বলল - মাটিতে পিন পড়ে গেছে। নখ দিয়ে ধরে তুলতে হয়।
- পনম বলল - আমার মায়ের নখগুলো কেটে কেটে গেছে।
- **একটা রোগাক্রান্ত কারণে হতে পারে। রোগান্তরের জন্য নখের মাঝখানটা চামড়ার মতো হয়ে যেতে পারে। নখটা ফাঁকা হবে।**
রিনা বলল - ভেতরে নোংরা হলে সেদিকে যায়। পুঁজ হয়।
- **ঠিক। নখ পরিষ্কার রাখা ও কাঁচি খুব দরকার। নোংরা জমে থাকলে সেখানে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে।**
বলবলি করে লেখো
নখ কী কী কাজ করে | নখ দেখে কী কী বোঝা যায় | কীভাবে নখের যত্ন দরকার |
---|---|---|
নরম নখ থাকার নীচে লুকানো তার নখ
সোনম ভাবছিল বিড়ালের নখের কথা। এমনিতে নখগুলো দেখাই যায় না। কিন্তু কিছু ধরার সময় বাইরে আসে।
বন্ধুদের সেকথা বলল। নিরাজ বলল - কুকুরেরও এইরকম আছে।
কৌশিক বলল - কুকুরের নখ আছে। কিন্তু তা খাবার লুকানো থাকে না।
- **ধারালো নখ অন্য অনেক জীবজন্তুর আছে।**
- **বিড়ালের নখও কিন্তু ধারালো।**
মানবদেহ
— কেন বলল? ওরা নখ দিয়ে নানা জিনিস ধরে ওড়ে যায় বলে?
- **হতে পারে। হাঁস ওড়ে না। ওই হাঁসের পায়ে এইরকম নখও নেই।**
- **পোঁটা, দাঁত, শিকারী।** ওদের নখ ফুটোর মত। বাঁকানো আর সূঁচাল।
জনফুল বলল - **গাউর নখের মতোই**।
গৌর, ছাগলের নখই বর্গের। সেগুলো টোটা।
ওরা মাছ বা পোকা ধরে না। তাই ধারালো নখ নেই।
দিদিমণিকে এসব কথা বলল সবাই। দিদিমণি বললেন - **ঠিক।**
শিকারি পশুপাখিদের এইরকম নখ হয়।
পুনম বলল - দিদি, মানুষ ছাড়া তো কেউ নখ কাটতে পারে না। তবু পশুপাখিদের নখ কেন বেশি বাড়ে না?
- **দেখেনি, অনেক পশুপাখি নখ হয়ে গেছে। নখ কাটতে হয় না।**
দিদি, ত্বক-চুল-নখ সবাই শরীরের অংশ অখণ্ডভাবে বাঁচায়।
- তবে এদেরও যত্ন করতে হয়। সাবান, জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। ক্রিম লাগাতে হয়। নখের যত্ন না নিলে জীবাণু ঢুকে নখকুনি হয়। চামড়ায় ফুসকুড়ি, দাদ-হাজা, চুলকানি হয়। চুল ঝুকি, উকুন হয়।
বলবলি করে লেখো
1. বিভিন্ন প্রাণীর সম্পর্কে নিজেরা আলোচনা করে, জেনে লেখো:
নখ নেই এমন প্রাণী | ক্ষুরওয়ালা প্রাণী | কিন্তু ধারালো নখওয়ালা প্রাণী | খুব সূঁচাল নখওয়ালা প্রাণী |
---|---|---|---|
গৌর | মানুষ | বিড়াল |
2. নখ, চুলের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করো। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নাও। তারপর লেখো :
নখ, চুলের কী সমস্যা হয় | তাতে কী কী কষ্ট হয় | তখন কী কী করলে হয় |
---|---|---|
মানবদেহ
ছোটো-বড়ো হাড়ের কথা
সার সোহানকে দেখে একট ছোটু এল। সে বলতে লাগল - **একটা বুড়ো আঙুল আর তর্জনী দিয়ে ধরে।**
সে স্কেল সরল। সার সোহানকে বললেন - **আমাদের আঙুলগুলো দেখা।** আঙুল ক-টা জায়গায় ভাঁজ হয়েছে?
জাফর বলল - বুড়ো আঙুলে দুটো ভাঁজ। তর্জনীতে তিনটি।
জিতো বলল - বুড়ো আঙুলের সোজা দু-জায়গায়।
রেশমা বলল - দু-জায়গা থেকে বুড়ো হাত দু-বার বাঁকছি।
সার ওর কথা খুব খুশি হলেন। বললেন - **ঠিক বলেছো।** কবজি থেকে পাঁচ আঙুলে মোট ক-টা হাড়? গুনে নাও।
এইবার সার একটা হাড় আঁকলেন।
একটি হাড় হলকা হবে। সাররা গাছে তো অনেক হাড়। কয়েকমাস হয়ে যাবে।
সোলাই বলল - সর হাড় কি এভাবে গোনা যাবে?
- তা না গেলেও এভাবে ধারণ করতে পারব। হাতের মোট সংখ্যা একশও। নাকি দূরত্ব বা ভিন্ন।
অনুপ বলল - **ঠিক ক-টা হাড় আছে তা কী করে জানা যায়?**
- **যে কোনো জীবন্ত কঙ্কাল দেখে।**
মানুষের হাড়গুলো নানা মাপের। কবজি, কোথাও ভাঁজ নেই। কব্জি খুব ছোটো।
আঙুলের ডগার হাড় খুব ছোটো।
অন্যজন হাড়ের বিভিন্ন জায়গা বাঁধাও টিপে দেখল। তারপর বলল - কিন্তু মানুষের কঙ্কাল দেখলে বোঝা যাবে কবজি থেকে কুনুই দুটো হাড়। কিন্তু কুনুই থেকে কাঁধ নলের মতন একটা হাড়।
- **ঠিক।** কোমর থেকে ছোটু হাড়ের মুখের মতো আরেকটা হাড় আছে। এখানে হাত দিয়ে দেখো শরীরের কোথা ও হাড় আছে।
দেখে বুঝে লেখো
বিভিন্ন জায়গার হাড়ের মাপ ও তাদের আকার বিষয়ে বোঝার চেষ্টা করো। তারপর লেখো :
কোন্ জায়গায় হাড় | মাপ (ছোটো / মাঝারি / বড়ো) | কোন্ জায়গায় হাড় | মাপ (ছোটো / মাঝারি / বড়ো) |
---|---|---|---|
মানবদেহ
অস্থিসন্ধির হিসেবনিকেশ
হাড়ের সংখ্যা গুনতে গিয়ে নতুন নতুন এক খেলা শুরু হলো। হিসেব কটা। জোড়াযোড়া না থাকলে বলও হবে না।
কিন্তু খেলায় শিমনার রব শুনে মুষড়ে আছে। কবজি পর্যন্ত সব আঙুল কাজ করে। কবজি থেকে আঙুলের কথা পর্যন্ত $\Box$টা জোড়া।
সার ক্লাসে এসে বললেন ওর মধ্যো করে আঙুল উঠো দেখে কতজন।
সারা বললেন - **হাড় হল সন্ধি।** জোড় হল **সন্ধি**। হাড়ের জোড়াকে **অস্থিসন্ধি** বলে। সারা গায়ে কোথায় অস্থিসন্ধি আছে? শরীরের হাড় দিয়ে আর নরকঙ্কালের ছবি দেখে বোঝার চেষ্টা করো।
রকুন বলল - এত হাড়। এদের আলাদা আলাদা নাম নেই?
- **আছে। কয়েকটি নাম বলছি।**
কোনো জায়গায় হাড় কোনটি তা লেখো।
হাড়ের সংখ্যা | কোন্ হাড়ের কি ধরনের অংশ |
---|---|
কাঁধ থেকে কুনুই: হিউমেরাস।
কুনুই থেকে কবজি: রেডিয়াস ও আলনা।
মেধবর্গ: ডাট্টুবা বা কব্জিবন্ধন।
হাতের নীচ থেকে গোড়ালি: টিবিয়া ও ফিবুলা।
হাড়গুলো অস্থিসন্ধিতে কী দিয়ে লাগানো থাকে?
- **হাড়ির মধ্যে একরকম জিনিস।** তাকে **লিগামেন্ট**। কাঁধ, কোমর, হাত ও পায়ের অস্থিসন্ধির মাঝখানে একরকম হলুদ তরল থাকে।
সেটা কমে গেলে হাড়গুলো নড়বড়াতে অসুবিধা হয়।
রিনা বলল - জিমনাস্টিকস করলে অনেক অস্থিসন্ধি খুব নমনীয় থাকে।
- **ঠিক।** আর অস্থি মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়াম দরকার। দুধ, ডিম, চুন, ডিম ইত্যাদি আছে।
দেখে আরও লেখো
1. শরীরের হাড়ের বিষয়ে দেখে আর গুনে লেখো:
এক হাত ও এক পা থেকে কবজি পর্যন্ত জোড়া হাড় ক-টা? | গুনে যাচাই করা যায় কিনা |
---|---|
কাঁধ থেকে কবজি পর্যন্ত ক-টা হাড়?
হাত দিয়ে হাড় ও শিরা গুনে লেখো :
মানবদেহ
2. অস্থি মজবুত করা ও অস্থিসন্ধিগুলো নমনীয় করা বিষয়ে আলোচনা করে লেখো:
অস্থি মজবুত হলে কী সুবিধা | কী করলে অস্থি মজবুত হয় | অস্থিসন্ধি নমনীয় হলে কী সুবিধা | কী করলে অস্থিসন্ধি নমনীয় হয় |
---|---|---|---|
পেশি নিয়ে কিছু কথা
শুভ কাঁচি দিয়ে শিমুলী ও শিমুলের হাত চেপ্টে ধরল। ইঁটুর শক্ত। শুভ বলল - তোমার হাত এত শক্ত হলো কী করে?
- **পেশির জন্য।** কাজ করায় হাড়কে সরায় পেশি। পেশির হাড়ের এক জায়গায় শুরু। আর এক জায়গায় শেষ। এমনভাবে টানটান করলেই শক্ত হয়ে যাবে।
কিন্তু ছোটো গেলে পেশির জোড় চাই।
- **কী করে পেশি জোরালো হবে?**
- মাংস-মাছ, ডিম, শস্য, ডাল, সয়াবিন, লেবু থাকে। একটু ব্যায়াম করে।
মাঝেমধ্যে হাতটা টানটান করে, তারপর চেপ্টে দেয়। পেশি লম্বা বাড়ায়।
শুভ এসব কথা বলল। সার বললেন - **হাতে অনেক পেশি আছে।** নিচে গুটো গুটো পেশির সাহায্য লাগে। ক্রিকেট খেলায় বল করে অথবা আনারকম। দেখার জন্য পড়ার জন্য ছোটো ছোটো পেশি কাজ করে।
অঞ্জশ্রী বলল - অন্য প্রাণীদের দেহে পেশি আছে?
- **নিশ্চয়ই আছে।** বাঘের মুখের পেশির জোড় খুব বেশি। পাখিদের ডানার পেশির গুণ খুব ভালো।
কেঁচোর দেহের পেশি কেমন হয়? চামড়া কেঁচোর মতো হয়ে যায়।
- আমাদের হাড় না থাকলে কী হতো? চলাফেরা কেঁচোর মতো হবে।
- এই বটে। আমাদের চোখে আর এগুলি লাগানোর পেশিগুলো এক নড়াচড়া। কিন্তু একটা পেশি একই অনেক কাজ করে।
কোনো খাবার থেকে $\Box$ টা মিশে যায়। মুখের ভিতর চিবানোর সময় খাবারকে গোলট-পালট করে নিতে।
আবার গিলতেও। খাবার হজমের সাহায্য লাগে। আর জিভ না থাকলে কথা বলা যায় না।
আবার কানদের লোহিতগণ। তখন কোন্ কাজ করতে পারে না।
মানবদেহ
দেখে বুঝে লেখো
মানুষ ও অন্য প্রাণীর শরীরের পেশি বিষয়ে আলোচনা করো।
মানুষের শরীরের পেশি | অন্য প্রাণীর শরীরের পেশি | ||
---|---|---|---|
কোন্ জায়গার পেশি | কী কাজ করার সাহায্য করে | কোন্ জায়গার পেশি | কী কাজ করার সাহায্য করে |
কব্জির পেশি | |||
ঘোড়াচালের পেশি | |||
চোয়ালের পেশি |
সেথোস্কোপে শোনা
ডাক্তারবাবুরা বুকে স্টেথোস্কোপ দিয়ে দেন। পিনু ভাবল, এমন একটা জিনিস বানানো যায়? স্টেথোস্কোপের যে দিকটা বুকে ঠেকায় সেটা ছোটো ছোটো ফানেলের মতো। ও একটি ফানেল আর রবারের নল দিয়ে স্টেথোস্কোপ ব্যবহার করার চেষ্টা করল।
ছোটোবোনের বুকে নলটি ঠেকিয়ে পিনু ফানেল কান দিল। তারপর অবাক হয়ে শুনল। বুকে রক্ত শব্দ হয়।
ভালো করে দেবার আগেই বোনকে মা ডাকলেন। বোন এক ছুটে চলে গেল। আবার একটু পরে ফিরে এল।
পিনু আবার অবাক হলো। এবার মনে হল শব্দটা বদলে গেছে।
পরেরদিন স্কুলে সবাইকে ও সেকথা বলল। দিদিমণি শুনে বললেন - **ঠিকই শুনেছ।**
ছোটু গেলে আর দাঁতগুলো পিনুর দুধপিণ্ডের শব্দ বেড়ায়।
আনাম বলল - স্থূলপিণ্ড কী?
- শরীর রক্ত ছড়িয়ে দেওয়ার পাম্প। সারা শরীর রক্ত যাওয়ার জন্য হৃৎপিণ্ডই থাকে।
আর সারা শরীর রক্ত যাওয়ার জন্য হৃৎপিণ্ডই থাকে।
দেখছি, তোমার নানা অনেক জীবাণু। রক্তেও কিছু জীবাণু মিশে যায়।
কিন্তু শুধু তুমি ও বন্ধু কেন। এগুলিতে জীবাণু পারে না। কিন্তু ছোটু কাজে ও ওষুধ থাকে।
মানবদেহ
- রক্তের সঙ্গে গুলে যাবে? হৃৎপিণ্ড সেই রক্ত পাম্প করে নাকি পাবে?
- **এই তো রক্তের কাজ আর হৃৎপিণ্ডের কাজ বুঝোছ।** এছাড়া রক্তে ও রোগ আটকাতে অনেক কিছু থাকে।
কিন্তু কিছু অসুস্থ ও দুর্বল না হলেও সেরে যায়।
- **ঠিক।** এবার তোমরা সবাই শিবুর মতো ছোটো স্টেথোস্কোপ বানাতে চেষ্টা করো। ছোটো স্টেথোস্কোপ দিয়ে দূরত্বের শব্দ কী রকম বদলায় তা দেখি।
দেখে শুনে ভেবে লেখো
স্টেথোস্কোপ বানাবে | কোন্ কাজের পর হৃৎপিণ্ডের ধুকপুক শব্দ শোনো। | কোন্ কাজের পর সেই ধুকপুক শব্দের ছন্দ কী রকম হয় তা শুনে দেখো : |
---|---|---|
বিকালে খেলার পর | রাতে খাওয়ার আগে | |
কেন এই পরিবর্তন |
বাতাসে ওড়ে জীবাণু
রাস্তায় খুব ধুলো। কাল থেকে অনেকক্ষণ জ্বর। এবার থেকে মজনার ঝিলপাড়ে খুব ঠান্ডা। অনুলগ্না তার ঠোঁট শক্ত খুলে।
পিঠ বাঁধে মুখে রুমাল চাপা দিলেন। বাইরে ওই মুখ থেকে বাতাসে ইঁদুরছানা বা অন্য কোনো অপছন্দের জীবাণু চলে।
সুজাতা এসে বলল এক কথা। সেই বলতে লাগল - ট্রেনটি ঢাকা।
বাতাসে আর কোন কোন রোগের জীবাণু থাকে।
দিদিমণি বললেন - **অনেক রকম রোগের জীবাণু থাকে।**
ওষুধ দিয়ে বাঁচা জীবাণু খুব মারাত্মক।
ফুসফুস দিয়ে আমরা শ্বাস নিই আর ছাড়ি। ফুসফুসে যক্ষ্মা রোগ বেশি হয়। অন্য কয়েকটি আছে।
মানবদেহ
সুজয় বলল - কী করে বোঝা যায় যে ফুসফুসে যক্ষ্মা হয়েছে?
- **প্রথম প্রধান চিন্তা বিড়ির কারণ হবে।**
ধূমপান করলে যক্ষ্মা হয়।
- রাতে ঘাম, শ্বাসকষ্ট হয়।
ঘুম থেকে ওঠার পর টান। কফ উঠতে থাকে। তারপর অন্যান্য।
অসুস্থ ও দুর্বল অবস্থায় বাড়ে।
রাতে ঘুমানোর পর জ্বর থাকবে। ক্রমশ ওজন কমে যাবে।
- ওষুধ, রক্ত পরীক্ষা।
বমি, রক্ত ওঠা। হাঁস, কাশি, দুর্বলতা, ওজন কম, রক্তক্ষরণ।
- **এই রোগ ক্যানসার না।**
- **বহুবার হাসপাতালে DOT চিকিৎসা করতে হয়।**
তাহলে এখন পুরোপুরি সেরে যায়।
যক্ষ্মা রোগীদের জন্য বিড়ি খাওয়া ঠিক নয়।
তাদের ফুসফুসের মধ্য থেকে ক্ষতিকর জীবাণু পাওয়া যায়।
সীমা বলল - **তবে থেকে মানুষের এই রোগ হচ্ছে।**
- **সাত-আট হাজার বছর আগে মানুষের কঙ্কালেও এই রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে।**
রিনা বলল - **তখন থেকেই জীবাণুর কথা জানা ছিল।**
- রোগটি কী?
- **আর্মিরা আজ থেকে যক্ষ্মা রোগীদের জন্য বিড়ি খাওয়া ঠিক নয়।**
- **ভালো করে।**
তাহলে চিকিৎসা কী?
- **টিবি দিয়ে একটি জীবাণু মারা যাবে তা জানা ছিল।**
কত পরীক্ষা করে?
কী কী ফল সেটা দেখতে হয়।
জলের সঙ্গে জীবাণু
তীর্থর খুব তৃষ্ণা হলো। বাতাস থেকে ক্ষতিকর জীবাণু ও শরীরে ঢুকে যায়। একএকবার খেয়ে ওখান থেকে। ভূষি মাটির নার্স। পাশের মাটিকে জীবাণু ও শরীর থেকে দূরে রাখে। মাখন বলল - **জীবাণু সবার কমবেশি আছে।**
আবার শরীরের মধ্যে তা প্রতিরোধের ব্যবস্থাপনা আছে।
- **তাহলে লোকের যক্ষ্মা কেন?**
- **অনেকে ধুলো-ময়লা ভরা বাতাসে থাকে।** খুব পরিশ্রম করে। **ঠিক মতো খান না।**
ফুলে প্রতিষেধক ব্যবস্থা থাকলে বেঁচে ওড়ে না।
একসময় স্বপ্না আর এন বলল - রাত হলে রোম ও আর্জন পাহারা করবে।
একএকবার খোলা জায়গায় খুব গরম জল।
মুন-ডিস্টিলিট জল পান করলে। এইটা সেইটা পূরণ। জলটা কুঁড়ি।
মুন-ডিস্টিলিট জল কমে যাচ্ছে।