DSE III: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ইতিহাস রোডম্যাপ

DSE III: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ইতিহাস রোডম্যাপ

সাল ঘটনা/পয়েন্ট
১৫শ-১৬শ শতক ইউরোপীয় শক্তির (ব্রিটিশ, ডাচ, ফরাসি, স্প্যানিশ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রবেশ এবং বাণিজ্যিক উপনিবেশ স্থাপন।
১৬শ-১৮শ শতক উপনিবেশিক শাসনের বিস্তার: উপনিবেশিক শক্তিগুলি স্থানীয় রাজ্যগুলির শাসনকে দুর্বল করে এবং শোষণমূলক ব্যবস্থার সূচনা করে। বাণিজ্যিক কৃষির প্রসার এবং চাষিদের শোষণ।
১৮শ শতক (শেষ) পশ্চিমা শক্তির শোষণ এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তন: ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ডাচদের শাসনে কৃষি এবং কারুশিল্পের বাণিজ্যিকীকরণ। স্থানীয় সমাজে সামাজিক বৈষম্য এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধি।
১৯০৫-১৯৩০ শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং জাতীয়তাবাদের বিকাশ: স্থানীয় জাতীয়তাবাদী চেতনা বৃদ্ধি। স্থানীয় বুদ্ধিজীবীরা উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। পশ্চিমা শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রভাব বৃদ্ধি।
১৯৪১-১৯৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং জাপানের আক্রমণ: জাপানী বাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ দখল করে, ফরাসি, ব্রিটিশ এবং অন্যান্য উপনিবেশিক শক্তিকে দুর্বল করে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্থান।
১৯৪৫ ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামের স্বাধীনতা ঘোষণার সূচনা: ইন্দোনেশিয়া: সুকর্ণের নেতৃত্বে স্বাধীনতা ঘোষণা (১৭ আগস্ট)। ভিয়েতনাম: হো চি মিনের নেতৃত্বে ফরাসি উপনিবেশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু।
১৯৪৫-১৯৪৯ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং উপনিবেশ মুক্তির প্রক্রিয়া: ভিয়েতনাম: ফরাসি ঔপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে বিজয় এবং স্বাধীনতা অর্জন। ইন্দোনেশিয়া: ১৯৪৫ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ১৯৪৯ সালে ফরাসি ঔপনিবেশের পরাজয়।
১৯৫৩ কম্বোডিয়া: সিহানুকের নেতৃত্বে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ।
১৯৫৪ ফরাসিদের পরাজয় এবং ভিয়েতনামের বিভাজন: ডায়েন বিন ফু যুদ্ধে ফরাসিদের পরাজয়। জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী ভিয়েতনামকে উত্তরে কমিউনিস্ট এবং দক্ষিণে গণতান্ত্রিক ভাগে বিভক্ত করা হয়।
১৯৫৫-১৯৭০ কম্বোডিয়ার রাজত্ব এবং আধুনিকীকরণ: নরোদম সিহানুকের নেতৃত্বে কম্বোডিয়ার আধুনিকীকরণ এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতি। সিহানুক রাজতন্ত্র ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি হন।
১৯৬২ সামরিক শাসন এবং ইন্দোনেশিয়ার অভ্যুত্থান: সুকর্ণের নেতৃত্বে গাইডেড ডেমোক্রেসির শাসনব্যবস্থা শুরু হলেও ১৯৬৫ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে, সুকর্ণ ক্ষমতাচ্যুত হন।
১৯৬৭ আসিয়ান প্রতিষ্ঠা: আসিয়ান (ASEAN) প্রতিষ্ঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানো।
১৯৭০ কম্বোডিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থান এবং সিহানুকের ক্ষমতা হারানো: সিহানুকের শাসনের শেষ এবং লন নলের সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৫-১৯৭৯ খমার রুন্গ শাসন এবং গণহত্যা: পোল পটের নেতৃত্বে খমার রুন্গ শাসন শুরু হয় এবং কম্বোডিয়ায় ব্যাপক গণহত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন।
১৯৭৫-১৯৮০ ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর ভিয়েতনামের পুনর্গঠন: দক্ষিণ ভিয়েতনামকে বিজয়ী করে একক ভিয়েতনাম প্রতিষ্ঠা হয়। ভিয়েতনামের পুনর্গঠন এবং সামাজিক সংস্কার।
১৯৮০-১৯৯০ আঞ্চলিক শান্তি ও পুনর্গঠন: আসিয়ান দেশগুলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
১৯৯৭ কম্বোডিয়ার পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা: খমার রুন্গ শাসনের অবসান এবং কম্বোডিয়ার পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা।
২০০০-বর্তমান আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক উন্নতি: আসিয়ান এবং অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থাগুলির মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যের বৃদ্ধি।